সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ডোয়াইলা পাড়ায় মার ইলিয়াস গির্জায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) দুপুরে প্রার্থনার সময় এ হামলা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো। খবর আল জাজিরার।
হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলাকারী ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সদস্য। সে প্রথমে গির্জার ভেতরে ঢুকে গুলি ছোঁড়ে এবং এরপর নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গেও এ তথ্য মিলে যায়।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স, যাদের ‘হোয়াইট হেলমেটস’ নামেও পরিচিত, জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের কাজ এখনো চলছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। অন্যদিকে, ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৩০ জন হতাহত হয়েছেন, যদিও তারা নিহত ও আহতের পৃথক সংখ্যা উল্লেখ করেনি। কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
গির্জার ভেতরের ধ্বংসস্তূপ, রক্তাক্ত মেঝে এবং ভাঙা কাঠামোর ছবি প্রকাশ করেছে সিরিয়ার নাগরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এর আগে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে সিরিয়ায় গির্জাকে লক্ষ্য করে এত বড় ধরনের হামলার ঘটনা এই প্রথম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক দখলদারি ধ্বংস হলেও, তারা এখনো নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।


