Top Newsআন্তর্জাতিক

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ ২৭

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় ভেসে যাওয়া ২৭ জন মেয়েকে খুঁজতে এখনো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। কার কাউন্টির নদীর পাড়ে ‘সামার ক্যাম্পে’ অংশ নেওয়া কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর ফেলে যাওয়া কম্বল, টেডি বিয়ার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কাদার মধ্যে ভেসে উঠছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) টেক্সাসের গুয়াদালুপ নদীর তীরে সামার ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিল কয়েকশ শিক্ষার্থী। তবে প্রবল বৃষ্টিতে মাত্র ৪৫ মিনিটে নদীটির পানি ২৬ ফুটেরও বেশি বেড়ে যায়। এসময় প্রবল স্রোতে ভেসে যায় শিক্ষার্থীরা। নদীর পানিতে প্লাবিত হয় আশপাশের এলাকাগুলোও।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বন্যাপীড়িত এলাকাটির শেরিফ ল্যারি লেইটা বলেন, ‘কার কাউন্টিতে আমরা ভেসে যাওয়া ৪৩টি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। মৃত এসব লোকগুলোর মধ্যে ২৮ জন ছিল পূর্ণ বয়স্ক ও ১৫ জন শিশুকিশোর।’

টেক্সাসের অন্যান্য কাউন্টিতেও নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হতভাগ্য লোকজনের মরদেহ, যার মোট সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৫০ জনে।

এ বিষয়ে টেক্সাসের রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান অগাস্ট পাফলুগার জানান, তার ছোট দুই মেয়েকে সামার ক্যাম্পের আশপাশ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, কার কাউন্টির ওই ক্যাম্পে থাকা ক্যাবিনের জানালাও বন্যার পানির তোড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

টেক্সাসের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান নিম কিড জানিয়েছেন, স্থল, জল ও আকাশপথে গুয়াদালুপ নদীর তীর ঘেঁষে তাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। অভিযাত্রীরা বেঁচে যাওয়া লোকজন বা হতভাগাদের মৃতদেহ খুঁজতে তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে গত শুক্রবার থেকে গুয়াদালুপ নদীর পানি বাড়ছিল এবং শনিবার দেশটির স্বাধীনতা দিবসে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অবিরাম বৃষ্টিতে নদীটির পানি আকস্মিকভাবে অনেক বেড়ে যায়। প্লাবিত হয় আশপাশের এলাকা। স্রোতে ভেসে যায় বাড়িঘর।

এদিকে এক আবহাওয়া বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েদার সার্ভিস টেক্সাসে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button