বিনোদন

চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা নয়, সবার কাছে দোয়া চাইলেন ফরিদা পারভীন

দেশের প্রখ্যাত লালন ও লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পরিবারের সহযোগিতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তিনি সরকার ও ভক্তদের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো আর্থিক সহায়তা না চেয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার চিকিৎসা নিয়ে নানা আলোচনার পর তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার (৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এক পোস্টে সাংবাদিক ও গীতিকার তানভীর তারেক জানান, সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর তার মায়ের চিকিৎসা খরচ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা বিভ্রান্তিকর খবরকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইমাম জাফর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যে কজন ভাই-বোন আছি, আমরা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত (ওয়েল এস্টাবলিশড)। আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। আর আমরা যদি চিকিৎসা ব্যয়বহন নাও করি, তাহলে আমার মায়ের যে টাকা-পয়সা আছে, তা দিয়েও চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করতে সক্ষম।’

পরিবারের সবাই—তিনি নিজে, ভাইবোন, তাদের জীবনসঙ্গীরা ও অন্যরাও—ব্যক্তিগতভাবে ফরিদা পারভীনের সেবা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইমাম জাফর বলেন, ‘আসলে আম্মার শরীর খারাপ অনেক দিন ধরেই। সেই ২০১৯ সাল থেকেই তার কিডনির সমস্যা। অনেক দিন ধরেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এখন ডায়ালাইসিস নেওয়া শুরুর পর থেকেই তার শরীরটা খারাপ হয়ে পড়ে। তার অসুস্থতার খবর শুনে উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে যে, তার চিকিৎসায় কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে কিনা। এটা জানার পর আমার আম্মা ফরিদা পারভীন জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের কোনো সহযোগিতা নিতে চান না।’

তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কেউ যেন এ নিয়ে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ান। বরং ফরিদা পারভীনের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আপাতত সবাই আম্মার জন্য দোয়া করবেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে নিজ অঙ্গনে ফিরুক।’

নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানে শুরুর পর লালনসংগীতে গিয়ে শ্রোতাদের কাছে বেশ পরিচিতি পান ফরিদা পারভীন। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালন সংগীতের তালিম নেন ফরিদা পারভীন।

ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button