দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে আলাদা উন্মাদনা। উৎসাহ-উদ্দীপনায় শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। জীবনের প্রথম ভোট দেওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আশিকুল ইসলাম তাদের একজন। তিনি স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তার ভোটকেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। ভোট দেওয়ার পর তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সারারাত ঘুমাইনি। ভোরে হল থেকে বের হয়ে সাড়ে ৭টার দিকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাই। রুমমেট-হলমেটদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি।’
আশিকুলের মতো অনেক শিক্ষার্থী জীবনে প্রথমবার ভোট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থী তানজিলা তাসনিম আঙুলে ভোটের দাগের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যৌবনের প্রথম ভোট।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর এটি দেশে প্রথম কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। তাই এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা দ্বিগুণ।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ফাহমিদুল হক বলেন, ‘এটাকে আমরা গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি বলতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল, এখানেই প্রথম শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। এবারের ডাকসু নির্বাচন সত্যিকারের উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা। ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের প্রকৃতিগত পার্থক্য থাকলেও, দীর্ঘদিন নির্বাচনহীন পরিবেশে এ নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বরাগ বলা যেতে পারে।’



