আজ ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস। একাত্তরের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে বাংলার বীর সন্তানরা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে কুড়িগ্রামকে মুক্ত ঘোষণা করেন। সেদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মোড় এলাকায় পানির ট্যাংকের শীর্ষে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামবাসীর বহু প্রতীক্ষিত বিজয় নিশ্চিত হয়। স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর এলেও কুড়িগ্রামের আকাশে সেদিনই উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলার পতাকা।
দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয়রা কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকৃত স্থানে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ এবং জেলাজুড়ে যেসব বধ্যভূমি অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে, সেগুলোর সংস্কার ও মৃত্যুবরণকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।
বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার বলেন, ৫ ডিসেম্বর আকাশ থেকে হামলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা প্রতিরোধের ফলে দিশেহারা পাক বাহিনী ৬ ডিসেম্বর ট্রেনে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করে। আমরা তখন মোগলবাসা থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছিলাম। আমি ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার দল নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে শহরে প্রবেশ করি। এরপর অন্যান্য কোম্পানির দলগুলোও শহরে প্রবেশ করে। আমি প্রথম পানির ওভারহেড ট্যাংকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ এবং পিটিআইতে আরো দুটো পতাকা উড়িয়ে বিজয় বার্তা ছড়িয়ে দেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুড়িগ্রাম মূলত ৬নং এবং ১১নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল।



