২০২৭ সালের ২ আগস্ট বিরল ধরনের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূর্যগ্রহণের সময় ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চল ৬ মিনিট পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা শতাব্দীর ইতিহাসে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ।
ইউরোপের বেশির ভাগ অংশ, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আংশিকভাবে এ সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ থেকে দেখা যাবে না।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি শুরু হবে পূর্ব আটলান্টিক থেকে। এরপর এটি উত্তর আফ্রিকার মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও মিসর অতিক্রম করে মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে সরে যাবে। মিসরের লাক্সর ও আসওয়ান শহরে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য কয়েক মিনিটের জন্য দেখা না যাওয়ায় আকাশের উজ্জ্বলতা লক্ষণীয়ভাবে ম্লান হয়ে যাবে। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে সূর্যের করোনা অন্ধকার ডিস্কের চারপাশে মৃদুভাবে জ্বলবে। ইউরোপের বেশির ভাগ অংশ, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যকে কামড়ানো আপেলের মতো মনে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ সরাসরি চলে আসে, তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটে থাকে। তখন দিনের আলো মুহূর্তের জন্য ম্লান হয়ে যায়। মনে হয় পৃথিবী একটি কৃত্রিম সূর্যাস্তে প্রবেশ করেছে। তখন বাতাসের ধরন সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন প্রাণী কখনো কখনো এমন আচরণ করে যেন রাত তাড়াতাড়ি এসে গেছে। পাখিরা শান্ত হয়ে যায়।



