মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম এখানে বলেছেন, ২৪৫৭.৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন দেশের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পটি সমাপ্তির পথে।
মন্ত্রী দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ হতে যাওয়া সাত বছর মেয়াদী টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের ব্যাপারে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য মৎস্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।’ মৎস্য অধিদপ্তর রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার মন্ত্রণালয় একটি জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করেছে এবং ‘আমরা মাছের উৎপাদন এবং জেলেদের জীবন-জীবিকার উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি’।
মন্ত্রী বৈদেশিক ঋণের পাশাপাশি শত ভাগ স্ব-অর্থায়ন প্রকল্পের অধীনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরেন। যেগুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ্যকর শুটকি মাছ প্রক্রিয়াকরণের জন্য শুটকি পল্লী বিকাশের মতো উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, সামুদ্রিক মাছ ধরার সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিভাগটি একটি স্মার্ট ভেসেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে।
করিম বলেন, ‘আমরা জেলেদের জন্য স্মার্ট কার্ড চালু করেছি। এছাড়া শিপিং বোট ও নৌযানগুলো বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত ডাটাবেস ও নজরদারি ব্যবস্থায় আসছে। খুলনায় চিংড়ি চাষিদের জন্য একটি ক্লাস্টার-ভিত্তিক পরিষেবা তৈরি করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পটি ১৬টি জেলার কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব নাহিদ রশিদ, অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাইয়ুম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, প্রকল্প পরিচালক আবদুল আলীম প্রমুখ।
‘সব মাছ ধরার জাহাজ ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আসছে এবং রপ্তানিকারকরা চিংড়িতে দ্রুত সাড়াদান কোড ট্যাগ করবে যাতে উৎপাদন এবং কৃষকদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকবে’ মন্ডল বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘উদ্ভাবনগুলো বিদেশে দেশকে ব্র্যান্ডং হিসেব তুলে ধরতে সহায়তা করবে। বিদেশে পণ্যটিকে জনপ্রিয় করতে আমরা টিনজাত ইলিশ মাছের গবেষণাকেও সহায়তা করছি।