ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেমন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।’
সরকার প্রধান আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশী সংস্কৃতির উন্নয়নে গত সাড়ে ১৪ বছরে আরো ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো: গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমী এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে এটি নির্মাণের জন্য ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কারণ, তাঁর সরকার অনেক আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন করা সত্ত্বেও তারা এখনও ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, যেখানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এর নিজস্ব স্বকীয়তা পরিবর্তন করা না যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, নগর ভবনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়) যে ঢাকা গ্রন্থাগারটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে।
শিশু গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জাপানের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে এবং গ্রন্থাগারে ৬ হাজার জাপানি বই দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং এটি আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।’