অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয় মারুফা আকতার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ৪ দশমিক ০৬ পেয়েছে ক্রিকেট দলের এই পেসার ।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতারের বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাদিখোল গ্রামের মাস্টার গ্রামে। তার বাবা মো. আইমুল্লাহ একজন সাধারণ কৃষক। খেলাধুলার পাশপাশি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মারুফা। জাতীয় দলে অনুশীলনের শত ব্যস্ততার মধ্যেও এমন ফলাফলে খুশি মারুফা।
ফলাফল প্রকাশের পর মারুফা বলে, ‘অনুশীলনের কারণে পড়াশোনা করতে পারি নাই। মনে করেছিলাম পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। কিন্তু আজ ফলাফল শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, খেলাধুলার সাথে পড়াশোনাটাও যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারি।’
মারুফা আকতারের বাবা মো. আইমুল্লাহ বলেন, ‘মেয়ে আমার খেলাধুলা করেও যে ফলাফল করেছে তাতে আমি খুশি। আপনারা আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন আগামী দিনেও সে যেন আরও ভালো ফলাফল করতে পারে।’
মারুফা আকতারের বড় ভাই আল-আমিন ইসলাম বলেন, ‘মারুফাকে আমি সব সময় বলেছি, খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও করতে হবে। খেলার সময় সে যেমন আমার পরামর্শ মেনে চলেছে, পড়ালেখার বেলায়ও সে আমার পরামর্শ মেনে চলেছে। এ জন্য আমি আমার বোনকে নিয়ে গর্বিত।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া সিরিজেও তার বোলিংয়ের তোপ দেখেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। প্রথম ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে এই পেসার বড় ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ-ভারতের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও দুই উইকেট নেয় এই তরুণী । তবে শেষ ওভারে যখন ভারতের জয়ের জন্য মাত্র ৩ রান দরকার, তখন নিজের জাত ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন তিনি। দুই রান দেওয়ার পর তৃতীয় বলে ভারতীয় ইনিংসের সর্বশেষ উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মাধ্যমে ম্যাচটি টাই হওয়ার পাশাপাশি সিরিজও শেষ হয়েছে সমতায়।