গত সাত দিনের ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা জলে ভাসছে। আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেষ নগরীর কয়েক হাজার পরিবার। অসংখ্য সড়কে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। পানিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের অন্তত আড়াইশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের জন্য খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আকবরশাহ এলাকার বিজয়নগর ও ঝিল পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ২৫০টি পরিবারকে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, তিন পুলের মাথা, বড়পুল, ছোট পুল, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুর, ষোলশহর, কমার্স কলেজ এলাকা এবং হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির ষষ্ঠ দিনে রবিবার সকাল থেকে নগরীতে জলাবদ্ধতা তীব্রতা ধারণ করে। তবে গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকার কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি।
এসব এলাকার প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসায় পানি ঢুকে যাওয়ায় আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। এছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটুপানি মাড়িয়ে অনেককে কর্মস্থলে যাত্রা করতে দেখা যায়।
নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত আরও তিনদিন পর্যন্ত অর্থাৎ ৯ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।’



