মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সফল উপকূলের চাষিরা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: মোঃ খোকন হাওলাদার
সারা দেশের মধ্যে তরমুজ চাষে শীর্ষ অবস্থানে পটুয়াখালী। গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষে ভালো লাভ হওয়ায় চাষিদের মাঝে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে। মাঠ জুড়ে ফসলের হাতছানি। ফলের পরম যতেœ ব্যস্ত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া, সদর ও মির্জাগঞ্জের প্রায় অর্ধশত কৃষক। জেলায় ৬৫ একর জমিতে এবার মাচাং পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করেন চাষিরা। সার, ঔষধ ও শ্রমিক বাবদ একর প্রতি ৩/৪লাখ টাকা খরচ হলেও ৬/৭ লাখ টাকা বিক্রির প্রত্যাশা চাষিদের ।
এক সময় অনাবাদির তালিকায় পড়ে থাকতো এসব জমি। গ্রীষ্মকালিন রসালো সুস্বাদু এ মিষ্টি ফলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাঙ্খিত দামও পেয়েছে কৃষক ফলে স্থানীয় কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন । এ ছাড়াও অনেকে সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। যেমন মির্জাগন্জ উপজেলার কৃষক সাইদুর রহমান তার পতিত জমিতে তরমুজ সহ বাহারি রকমের সাক সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তার এ বাগানে তরমুজ এর পাশাপাশি টমেটো, বরবটি, মাটিআলু, পেপে, ওলকপি সহ বিভিন্ন রকমের সবজি রয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে এবছর জেলার মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, দশমিনা ও কলাপাড়া উপজেলায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে গত বছর জেলায় ৬৫ একর জমিতে গ্রীষ্মকালিন তরমুজের আবাদ হলেও এবার তা দাড়িয়েছে দেড় হাজার হেক্টরে।
বাংলাদেশে অসময়ে তরমুজের অনেক গুলো জাত আছে। চিন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট দুটি তরমুজের জাত বের করেছে, বাড়ি তরমুজ এক, বাড়ি তরমুজ দুই। প্রতি কেজি বিজ-এর দাম ৫০ হাজার টাকা। এই তরমুজের বিজ কৃষকরা অনায়সেই রাখতে পারবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা “এক টুকরো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না” তার এই কথা কে বাস্তবায়নে জেলা কৃষি সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ দিন দিন বাহারি রকমের কৃষির আবাদ করেছেন।