গ্রাামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের নামে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে এবার আপিল বিভাগেও আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হিাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।
ফলে শ্রম আদালতে এ মামলার বিচার চলবে বলে জানায় আইনজীবীরা।
গত বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালত। শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
গত ২৫ জুলাই চেম্বার কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেয়া হয়। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৮ আগস্ট রায় দেয়া হয়। রায়ে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ড.ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা ও গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।