ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামে মো: জিহাদ ও জাহিদ হোসাইন নামে দুই চাচাতো ভাইর মুক্তার খামার দেখতে এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভীড় করছেন স্থানীয়রা। ২০২২ সালের দিকে ইউটিউব দেখে চাকরি জীবী দুইজন যুবক মুক্তা চাষে আগ্রহী হন। এরপর ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে নঁওগা থেকে ঝিনুক ও মুক্তার ডিজাইন এনে নিজেদের ২৪ শতাংশ জমির পুকুরে শুরু করেন মুক্তার চাষ। ৩৫ টি খাঁচায় ১ হাজার ঝিনুক দিয়ে শুরু করেন মুক্তা চাষ। সব মিলে এ পর্যন্ত তাদের খরচ হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা। আর পিছনের দিকে তাকাতে হয় হচ্ছেনা তাদের। বর্তমানে তাদের মুক্তার বয়স প্রায় ৯ মাস। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের দিকে তাদের মুক্তা বাজার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করবেন বলে জানান তারা। কম খরচ ও খুবই পরিশ্রমে অধিক লাভনজক মুক্তা বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
অন্যদিকে তাদের মুক্তা চাষ দেখে গত দুই সপ্তারের মধ্যে কয়েক যুবক শুরু করেছেন মুক্তা চাষ। এছাড়াও অন্যান্য বেকার যুবকরাও তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে ছুটে আসছেন তাদের খামারে।
তবে মৎস্য বিভাগের দাবী মো: জিহাদ ও জাহিদের মুক্তা চাষের কথা শুনেই তাদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। এছাড়াও নতুন নতুন অনেক যুবকরাই মৎস্য অফিসে ছুটে আসছেন মুক্তা চাষের জন্য। কিন্তু মৎস্য বিভাগ থেকে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় সেটি দিতে পারছেন না। তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে দাবী এই কর্মকর্তার।