তথ্য গোপন করে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল কার্যালয়ে ড্রাইভার মো. রাকিব খান।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল কার্যালয়ে ১৬/১১/২০২১ সালে ড্রাইভার পদে নিযোগ পান মো. রাকিব খান। সরকারি নীতিমালা মেনেই চাকরিতে যোগদান পত্র জমাও দিয়েছেন তিনি। যোগদান পত্রে জমা দিয়েছেন অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, গোপন রেখেছে তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ চলমান মামলার কথা। ২১/০৫/ ২০১৩ সালে সিএনজির অটোরিকশার মালিক মো. খোরশেদ বেপারী কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মো. রাকিব খান ও তার সহযোগিরা।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মো. রাকিব খান ও তার সহযোগিরা সিএনজির অটোরিকশার আবুল হোসেনসহ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মো. ফারুক ১নং ও মো. রাকিব খান কে ২নং আসামীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত নামা ৫/৬ কে আসামী করে মামলা করেন সিএনজির অটোরিকশার মালিক মো. খোরশেদ বেপারী।
এই মামলায় তদন্ত রিপোর্টে মো. রাকিব খান ১নং আসামী করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বর্তমানে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল কার্যালয়ে ড্রাইভার মো. রাকিব খান ক্ষমতা অপব্যবহার করে মামলার বাদী খোরশেদ বেপারী কে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরণে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ, সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হয়নি সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম কার্যালয়ে পেশকার কামরুল হাসান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বলেন, যোগদান পত্রে মামলার কথা গোপন রাখা হলেও হুমকি অভিযোগ সত্য নয় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ বলে দাবি করেন রাকিব।