ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাননি, তবে অভিষেকটা মনে রাখার মতোই হয়েছে বাংলাদেশের এই পেসারের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের খাতাই খুলেছেন রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যানকে দিয়ে। ৭.৫ ওভার বল করে ৩২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সঙ্গে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশও পেয়েছে ভারতের বিপক্ষে ৬ রানের জয়। এমন অভিষেক কি স্মরণীয় না হয়ে পারে তানজিমের!
জয়ের পথে তানজিমের ভূমিকা কী? এই প্রশ্ন করলে বলতে হবে, জয়ের পথটাই দেখিয়েছেন প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা এই পেসার। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভারতকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন তানজিম। ফিরিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতকে। এরপর যেভাবে ইনসুইং ডেলিভারিতে অভিষিক্ত তিলক বর্মাকে ফিরিয়েছেন, সেটা শুরুতেই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন।
তানজিমের কাছে রোহিতের উইকেটটার বিশেষত্ব অনেক। কারণ, এটাই যে তাঁর স্বপ্নের উইকেট। ম্যাচ শেষে এই পেসার বলেছেন, ‘রোহিত ভাইয়ের উইকেটটা আমার স্বপ্নের উইকেট, প্রথম উইকেট। আমি শুধু সঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করতে চেয়েছি।’
শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ায় অধিনায়ক সাকিব ৬ ওভারের লম্বা স্পেল করিয়েছেন তানজিমকে দিয়ে। তানজিম বলছেন দলের প্রয়োজনে এমন স্পেলের জন্য প্রস্তুত থাকেন তিনি, ‘এমন কিছুর জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি। দলের যখন আমাকে প্রয়োজন হয়, তখন এমন লম্বা স্পেল করার জন্য প্রস্তুত থাকি। অনুশীলনও এভাবে নিজেকে প্রস্তুত করি।’
ইনিংসের শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সেখানে প্রথম তিন বলই ডট দেন তানজিম। এরপর চতুর্থ বলে মোহাম্মদ শামি বাউন্ডারি মারেন। ওভারের প্রথম চার বলই স্লোয়ার করা তানজিম ওভারে পঞ্চম বল করেন ইয়র্কার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার ইয়র্কার দিতে পারবেন, এই বিশ্বাস থেকেই ইয়র্কার করেছেন, ‘প্রথম ভেবেছিলাম স্লোয়ার করব, তবে পরে মনে হলো আঁটসাঁট ইয়র্কার করি। বিশ্বাস ছিল নিখুঁত ইয়র্কার করতে পারব, সেটাই হয়েছে।’