ইশ সৌধির লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২৫৫ রানের টার্গেট তাড়ায় ৮৬ রানে হারল বাংলাদেশ। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
কেবল এক ওভারের ব্যবধানে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। লিটন দাস দ্রুত ফিরে গেলেও তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে দারুণই খেলছিলেন তামিম ইকবাল।
কিন্তু প্রথম পাওয়ার প্লে শেষের পর প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন কিউই স্পিনার ইশ সোধি। ডানহাতি এই লেগ স্পিনার সাজঘরের পথ দেখান তানজিদ ও সৌম্য সরকারকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম ৩৯ ও তাওহীদ হৃদয় ব্যাট করছেন ৪ রানে।
দীর্ঘদিন পর খেলতে নামা সৌম্য সরকার ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ তুলে দিয়ে গ্লোল্ডেন ডাক মারেন।সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন মাত্র চার রান করে।
২৫৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা সতর্কতার সঙ্গেই করেন তামিম ও লিটন। প্রথম পাঁচ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকেই কাটিয়ে দেন এই দুই ওপেনার। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে কিউইদের ব্রেকথ্রু এনে দেন কাইল জেমিসন। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা লিটন ক্যাচ দিয়ে বসেন থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা ফিল্ডার রাচিন রবীন্দ্রকে। এরপর আগ্রাসী ব্যাটে খেলতে থাকেন তামিম। জেমিসনের এক ওভারে তিনটি চার মারেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
দুই তামিমের জুটি যখন জমে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই পথ হারালেন জুনিয়র তামিম। সোধির বলে তাকে শিকার করতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন কিউই অধিনায়ক। ১২ বলে ৩ চারে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ। দুই বল পর নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে শূন্য রান করা সৌম্যকে তুলে নেন সোধি। ২ বছর পর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২ বল টিকলেন সৌম্য। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ফলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।