কিশোরগঞ্জে মধ্যরাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত একটার পর কটিয়াদীতে মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেল করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি তাজা কটটেল উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা, ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে নাশকতার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, কটিয়াদী উপজেলার এই বাসস্ট্যান্ড ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশ। কয়েক দিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার দুই দলের, বিশেষ করে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা এ পথ দিয়ে ভৈরব হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। এমন বাস্তবতায় পুলিশের চোখে মহাসড়কের এই পয়েন্ট নজরদারির মধ্যে ছিল। কয়েক দিন ধরে পুলিশি তল্লাশিও জোরদার ছিল।
গতকাল রাত ১২টার পর মহাসড়কটি অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। রাত একটার কিছু পর দুটি মোটরসাইকেল বাসস্ট্যান্ডে থামতে দেখা যায়। প্রতিটিতে তিনজন আরোহী ছিলেন। সবার মাথায় হেলমেট। মোটরসাইকেল থামানোর পর কয়েকজন নেমে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন উপস্থিত জনতা ভয়ে নিজেদের আড়াল করেন। আবার কয়েকজন ‘ধর, ধর’ বলে ধাওয়া করেন। তখন কয়েকটি ককটেল ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন রইছ উদ্দিন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, হেলমেটের কারণে কাউকে চেনার সুযোগ ছিল না। দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর আরও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুর্বৃত্তরা। তখন লোকজন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে।
কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। দুই দলের মহাসমাবেশের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগসূত্র থাকতে পারে। মহাসড়কে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।