মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ছিল বিডিংয়ে অংশ নেয়ার শেষ দিন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দেয়, তারা আগ্রহী নয়। ফলে একমাত্র সৌদি আরবই পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য দাবি জানিয়েছে। তাই কোনো অঘটন না ঘটলে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসতে চলেছে সৌদি আরবে। কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ এই আয়োজন করবে।
২০৩০ সালে পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করার জন্য মরক্কো-পর্তুগাল-স্পেন একমাত্র দাবিদার ছিল। সেখানেই বিশ্বকাপ হবে। তবে বিশ্বকাপের একশ বছর পূর্তির জন্য আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে তাদের প্রথম ম্যাচটি নিজেদের দেশে খেলবে।
২০২৬ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডায়।
ফিফার প্রেসিডেন্ট ইনস্টায় জানিয়েছেন, ”তিনটি পর্ব পাঁচটি মহাদেশের ১০টি দেশে হবে। ফুটবল সত্য়িকারের বিশ্বজোড়া খেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। ফুটবলের ধারেকাছে আর কোনো খেলা আসে না। এখন এই খণ্ডিত, আক্রমক বিশ্বে ফুটবলই সকলের খেলায় পরিণত হয়েছে।”
ফিফা জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে এবার বিস্তারিত আলোচনা হবে, সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। ফিফার সব শর্ত তাদের পূরণ করতে হবে।
সৌদি আরবের ফুটবল সংস্থার প্রধান ইয়াসের আল-মিশেহাল বলেছেন, ”আমাদের দেশও ফুটবল পাগল। আমরা ফিফার সব চাহিদা পূরণ করব। আমাদের ফুটবল ঐতিহ্যও বিশ্বের সামনে তুলে ধরব।”
তবে সৌদি আরবকে নিয়েও বিতর্ক আছে। পশ্চিমা দেশগুলি সৌদির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে মেয়েদের, সমকামীদের অধিকার, বাকস্বাধীনতার উপর কড়াকড়ি নিয়েও তাদের উদ্বেগ রয়েছে।