খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আর বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঘটনাও সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্য কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমায়।
গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি, ফল রাখতে হবে ডায়েটে।বিভিন্ন শস্যদানা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উপকারী। শস্যে পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় পরিমাণমতো গম, চাল, ভুট্টা ইত্যাদি রাখুন।
সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। এ ছাড়া সবুজ আনাজে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যেমন ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ইত্যাদি। তাই খাদ্যতালিকায় পালং, মেথি, কলমি, পুঁই, কচু, যে কোনও শাক রাখতে পারেন।
বিভিন্ন রকম ফল খান। কারণ, ফলে ক্যালরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি। কয়েকটি ফল আবার ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি-র মতো খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ, পেয়ারা, কিউই, আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ডিম খাওয়া যেতে পারে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে তিনদিন গোটা ডিম খেতে পারেন। বাকি চারদিন শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ খাবেন।
যেহেতু শীতের মরশুম তাই সহজেই কমলালেবু, আমলকি, টমেটো ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। এই ধরনের ভিটামিন সি-যুক্ত ফল ও সবজি কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও আপনি এই মরশুমে বিটরুট খেতে পারেন। এছাড়াও যত বেশি ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তা থাকবে না। ওটস ও আপেলকে অবশ্যই ডায়েটে রাখবেন।
শীতের সময় পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোপি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। আমন্ড, আখরোটের মতো খাবারেও ফ্যাট রয়েছে। কিন্তু এগুলো গুড ফ্যাট অর্থাৎ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাছাড়া বাদামের পাশাপাশি ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড বা সূর্যমুখীর দানা খেতে পারেন। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়। এই ধরনের খাবারে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হার্ট ভাল থাকে।