শীত প্রায় চলেই এসেছে। এখন থেকেই সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জির সমস্যায় অনেকেই ভুগতে শুরু করেছেন! শীত এলেই বেড়ে যায় অ্যালার্জির সমস্যা। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় ধুলাবালি ও বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়।
যেহেতু শীতকালে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে, তাই এ সময় বাতাসে শুষ্কতা বেশি থাকে। ফলে প্রকৃতিতে ধুলাবালি ও বাতাসে বৃদ্ধি পায় রোগজীবাণুর সংখ্যা। এসব পরিবর্তনের কারণে অনেকের শরীরে অ্যালার্জি বেড়ে যায়। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে বায়ুদূষণজনিত এবং মানুষ থেকে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
সবার শরীরেই একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম থাকে। কোনো কারণে এই ইমিউন সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দিলে তখনই অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরনের- সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। যা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে। একে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
অন্যটি পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। যা সারাবছরই দেখা দেয়। অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এর উপসর্গ হলো- অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে ও চোখ লাল হয়ে যায়।
তাই শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যেমন: দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মাস্ক ব্যবহার করা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস করতে হবে। র্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, স্ট্রবেরি, জাম্বুরা, কাঁচা মরিচ, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ও তাজা শাকসবজি নিয়মিত খেতে হবে এবং হাঁটা, যোগব্যায়ামের মতো শরীরচর্চা করতে হবে।
আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর কখনো ও সারানো যাবে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে প্রথম দিকে ধরা পরলে এই রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব অবহেলা করলে এবং দীর্ঘদিন রোগ পুষে রাখলে নিরাময় করা পরবর্তীতে কঠিন হয়ে পড়ে উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে তাই অ্যালার্জিজনিত রোগ নিরাময় মতো অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।