বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মূলত বরাবরই স্পিননির্ভর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল স্পিননির্ভরতা কাটিয়ে পেস বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকেছে। বোলিংয়ে এই অভাবনীয় পরিবর্তনের জন্য বোলারদের সাথে আরও একজনকেও কৃতিত্ব দিতে হবে, তিনি হলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড।
২০২২ সালের মার্চে জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া এ কোচের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ৩০ নভেম্বর শেষ হবে। এতদিন তার চুক্তি নবায়ন নিয়ে হয়েছে নানা জল্পনা। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজে থেকেই বিদায় বলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা।
গত বছর মার্চে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে পেস বোলিং কোচ হিসেবে এক বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তার অধীনে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক এ বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত ভীষণ উন্নতির ছাপ রেখেছিল। তা দেখে চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় বোর্ড। যদিও বিশ্বকাপে তাসকিন, মোস্তাফিজ, শরীফুলরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি, ব্যর্থ হয়েছেন দলের অন্যদের মতোই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এখানে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। তারা গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে, আমি গর্বিত। তাদের আমি নিজের বন্ধু হিসেবে গণ্য করি।’
চলে গেলেও পেসারদের মনে থেকে যাবে ডোনাল্ডের, সেটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি। বিদায়ের আগে টিম মিটিংয়ে তাসকিন-শরিফুলদের উদ্দেশে কী বলেছেন, সেটাও জানালেন কিংবদন্তি এই পেসার, ‘আজকে আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশের বাস আমাকে সেঞ্চুরিয়ন পার্ক থেকে তুলে এনেছে এবং পুনেতে রেখে যাচ্ছে। এটি আনন্দের কিছু নয়। কখনোই আনন্দের নয়। কারণ আপনি দারুণ সম্পর্ক তৈরি করেছেন, শুধু দল নয়, ফাস্ট বোলিং একটি ইউনিটও। এই ছেলেদের নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।’
অবশ্য বাংলাদেশ দল ছাড়লেও তার পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। পুনে থেকে সরাসরি নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন এই কিংবদন্তি।