স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ব্রিগে. জেনা. (অব.) অধ্যাপক মো. ইউনুছুর রহমান, আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা ও আবু জাফর।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর, ২০২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কক্ষে এই স্বাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরে স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সংগঠনটিসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ১৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিকমানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করে।
সেগুলো হলো- সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।