২০১১ আসরের পর আবারও আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামবে ভারত। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আসরে টানা ১০ জয়ে ফাইনালের টিকিট পাওয়া ভারতকে শিরোপার মঞ্চে থামানো কঠিন হবে বলে মনে করেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।
তৃতীয়বার শিরোপা জয়ে ঘরের মাঠে ফেবারিট হিসেবেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ভারত। লিগ পর্বে ৯ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে সেমিফাইনালে উঠে তারা। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অসাধারন নৈপুন্য প্রদর্শন করেছেন ভারত। সেমির মঞ্চেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেনা রুপে ছিলো টিম ইন্ডিয়া।
মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির সাথে শ্রেয়াস আইয়ারের শতকে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫০ সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ১১৭ রানে থামেন কোহলি। শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙেন তিনি। আইয়ারের ব্যাট থেকে আসে ১০৫ রান। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে ভারতীয় বোলাররা। বল হাতে একাই নিউজিল্যান্ডকে ধ্বসিয়ে দিয়ে ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত করেন পেসার মোহাম্মদ সামি। ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সামি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে শুভ কামনা জানিয়ে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি গাঙ্গুলী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারত বিধ্বংসী রূপে আছে। আহমেদাবাদের জন্য আমি শুভ কামনা জানাই তাদের। এবারের টুর্নামেন্ট দারুণ খেলেছে ভারত।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিরোপা জিততে আর মাত্র একটি ম্যাচ দূরে এবং ভারত ও বিশ্বকাপ ট্রফির মাঝে এখন দাঁড়িয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।’
টানা ১০ জয়ে বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। লিগ পর্ব ও সেমিফাইনালে যে ধরণের ক্রিকেট ভারত খেলেছে, সেটি ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে টিম ইন্ডিয়াকে থামানো কঠিন হবে বলে জানান গাঙ্গুলী।
তিনি বলেন, ‘ এখন পর্যন্ত ভারত যেভাবে খেলেছে সেটা ধরে রাখতে পারলে তাদের থামানো কঠিন হবে। এটা দারুণ একটা ম্যাচ হবে। কারণ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও খুব ভালো দল।’
এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে একবার দেখা হয়েছিলো ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে হওয়া ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১২৫ রানে হেরেছিলো ভারত। সে আসরে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন গাঙ্গুলী।