মন হতেই পারে আপনার শখের ঘরটি ছোট। আপনার বেশি জায়গার বিলাসিতা তাই নেই। কিন্তু তাতে কি? ছোট ঘরের সাজ কি হবে না? নিশ্চয়ই হবে। হয়তো ভাবছেন, ছোট ঘরে তো জায়গাই নেই সেখানে কিভাবে আবার সাজসজ্জার কথা আসে?
ছোট ঘরের বেশিরভাগ সমস্যাই এটা যে বেডরুম থাকে একটি কিংবা দুটি। কোথাও কোথাও বেডরুমের সংখ্যা বেশি হলেও তা হয়ে থাকে বেশ ছোট। সেখানে সঠিক ভাবে ঘরের স্পেসিং করা এবং সব আসবাবের জায়গা করে নেয়াটা ভীষণ জরুরী। পরিকল্পিতভাবে এগুলো করতে পারলেই আপনার ছোট ঘরই দেখাবে পরিপাটি এবং খোলামেলা। চলুন আরও জানা যাক, ছোট ঘরের সাজ সম্বন্ধে।
ঘর সাজাতে কে না ভালোবাসে। ছোট ঘরটাকেও মনের মত সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে চান সবাই। কিন্তু ঘরের আয়তন কম হলে সে বাসা সাজাতে হিমসিম খেতে হয়। তাই বলে কি ঘর সাজানো যাবে না! এমনটা একদমই নয়। জেনে নিন ছোট্ট বাসাটিকেও কিভাবে সাজাতে পারেন এবং কিভাবে সাজালে একটু বড়ও লাগবে-
১. ছোট বাসার ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গাঢ় রঙের দেয়ালে ঘর ছোট লাগে। অন্যদিকে হালকা রঙের দেয়ালে বাসা বড় দেখায়। তাই দেয়ালে সবসময় হালকা রঙ ব্যাবহার করবেন। পেস্ট, গোলাপী, মেজেন্টা, কমলা, হলুদ এসব রঙ ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন। বরং সাদা, ক্রিম, অফহোয়াইট, পার্ল হোয়াইট, লাইট গ্রেসহ যেকোন নিউট্রাল পেস্টেল রঙ ব্যবহার করুন। এধরনের রঙ বড় ঘরের মত ইলিউশন তৈরী করে যার ফলে ঘর অনেক বড় মনে হয়, খোলামেলা মনে হয়।
২. ছোট ঘরে বড় আকৃতির, অনেক নকশাওয়ালা আসবাব না রাখাই ভাল। এতে ঘর আরো ছোট দেখাবে। পরিবর্তে হালকা নকশার আসবাব রাখুন। যতটা না হলেই না এমন আসবাব রাখুন।
৩. ঘরের দরজা জানালায় পর্দা না লাগালেই না। কিন্তু ছোট ঘরে পর্দা ব্যবহার করুন এমন যার ভেতর দিয়ে সকালে হালকা আলো আসে কিন্তু রাতে অন্ধকার থাকে। তাহলে সকালে রুমে এক্সট্রা বাতি জ্বালাতে হবেনা। মেইন পর্দার ভেতরে নেট এর পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সকাল বেলা মেইন পর্দা বাধুনি নিয়ে বেধে রাখবেন সুন্দর করে আর নেট এর পর্দা মেলে রাখবেন। বাহির থেকে দেখাও যাবেনা আবার আলোও আসবে। স্বল্প দামের মধ্যেই এগুলা পাওয়া সম্ভব।
৪. ঘরের জানালা পরিস্কার রাখুন, কাচ গুলো সুন্দরভাবে মুছে রাখবেন। জানালার এক কোনায় যেখানে আলো আসে একটা ঝুলানো গাছ দিতে পারেন। সবুজ এর ছোয়া সবসময়েই সুন্দর।
৫. যতটা সম্ভব ফ্লোর খালি রাখবেন। এমনিতেই ছোট ঘর তার মধ্যে যদি ঘরের ভেতর সবকিছু আঁটসাঁট করে রাখেন তাহলে, ঘর আরও গুমট লাগবে। এমন হতেই পারে বেডসাইডে টেবিল রাখার জায়গা হচ্ছে না, বিছানার পাশে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে নিন সুন্দর একটি হ্যাঙ্গিং শেলফ। বেডসাইড টেবিলের কাজও হবে, আবার মেঝের স্পেসটাও বাঁচবে। ঘরকে খোলামেলা দেখাতে বিছানাকে পাঠিয়ে দিন ঘরের একবারে কোণায়। যেন দুটো দিকই দেয়ালের সাথে লাগানো থাকে।