স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস নয়!

মোহনা অনলাইন

সাধারণত মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে বমি বমি ভাব, আচমকা চোখে অন্ধকার দেখার মতো উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া উচিত। তবে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি দেখা দিলে সাধারণ ভাবে মাথার কোনও সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয় না। তাই রোগ ধরা পড়তে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যদিও টিউমারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।

কোনটি ম্যালিগন্যান্ট বা কোনটি বিনাইন— তা বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মাথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, চেনা বেশ কিছু উপসর্গ ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জটিল ওই রোগটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা: সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার মূত্রত্যাগ করার লক্ষণ দেখা যায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রেন টিউমার কিন্তু শরীরে বিভিন্ন গ্রন্থি, অঙ্গের উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ফলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সে কারণে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ক্লান্তি, অল্পতেই ঠান্ডা লাগা, সারা ক্ষণ জল পিপাসা পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় ব্রেন টিউমার হলে।

আচরণে পরিবর্তন: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কে কোনও রকম অবাঞ্ছিত টিস্যু বৃদ্ধি পেতে থাকলে ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন আসে। এই উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসেকরা। চট করে রেগে যাওয়া, অসংলগ্ন কথা বলা, সাধারণ বিষয় ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার মতো লক্ষণও এই রোগের উপসর্গ হতে পারে। মস্তিষ্কের সামনের দিক টিউমার দখল করে রাখলে ব্যক্তিত্বে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনই বাড়তে পারে উদ্বেগ, অবসাদের সমস্যা।

মুখের অঙ্গভঙ্গি করা: মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ এলে তবেই বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে। কিন্তু টিউমার মস্তিষ্কের সেনসরি রিসেপটরগুলিকে সেই সঙ্কেত গ্রহণে বাধা দেয়। ফলে কখন কোন কথায় কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা বুঝতে সমস্যা হয়। সেই প্রভাব বেশি ফুটে ওঠে মুখের উপর। হাসা, কথা বলা, খাওয়া, মুখ নাড়ানোর মতো কাজ করতে সমস্যা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি সাধারণ মানুষের সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। সব কিছুর জন্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।)

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button