ভবিষ্যতে ট্রান্স-আটলান্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করাও সম্ভব বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা
আকাশপথে চলাচল পরিবেশবান্ধব নয় কারন বিমান থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশের এর জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে একটি, হাইড্রোজেন ইঞ্জিন দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা। জার্মানির “এইচটুফ্লাই” কোম্পানির কর্মীরা দুই বছর ধরে এ লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওসেফ কালো বলেন, “আমাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করার প্ল্যাটফর্মের নাম ‘এইচআইফোর’। আমরা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করি, যেটা বৈদ্যুতিক মোটরকে বৈদ্যুতিক শক্তি দেয়। নতুন এই সংস্করণে ফুয়েল সেলকে হাইড্রোজেন দিতে প্রেসারাইজড ট্যাঙ্কের পরিবর্তে তরল ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যার ধারণক্ষমতা বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি।”
ব্রিটিশ কোম্পানি “জিরোএভিয়া” এ বছরের শুরুতে একটি ছোট দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট প্লেনের পরীক্ষামূলক উড়াল সম্পন্ন করেছে। তবে মাত্র একটি বৈদ্যুতিক মোটর ও বায়বীয় হাইড্রোজেন ছিল। অন্য মোটরটি ছিল সাধারণ কম্বাশান ইঞ্জিন।
এয়ারবাসও হাইড্রোজেন প্রপালশনে আগ্রহী। তাই তারা ঐ কোম্পানির কিছু অংশ কিনে নিয়েছে। দুই বছরের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলা বিমানকে হাইড্রোজেনচালিত করতে চায় এই স্টার্টআপ কোম্পানি।
শুধু ইঞ্জিন নয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে- এয়ারক্রাফটের নকশা থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার।
তরল হাইড্রোজেন দিয়ে আজ ৭০০ কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ তাই ভবিষ্যতে ট্রান্স-আটলান্টিক ফ্লাইট পরিচালনাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।