আসছে জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের প্লাটফর্মে গুজব, সহিসংতা ও মিথ্যা তথ্য ছড়াতে দেবে না টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের এই নির্বাচন নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে যেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর সব তথ্য মুছে দেবে তারা।
টিকটক বলছে, এতে ভোটার নিবন্ধন, প্রার্থীর যোগ্যতা, ব্যালট গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কিত এমন আরও বিষয় এতে বিবেচনা করা হবে। যেসব কনটেন্ট ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে, ভোট প্রদানে বাধা দেয় বা সহিংসতা সৃষ্টি করে-সেগুলো মুছে দেয়া হবে।
এসবের জন্য বিশ্বজুড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মী এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়া, গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার এবং সামাজিক সংস্থা এক্ষেত্রে যুক্ত থাকে।
দেশে নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করতে এবং সেইসাথে তা অপসারণ করতে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে কাজ করেছে টিকটক। যেসব কনটেন্ট রিভিউ বা যাচাইয়ের জন্য এবং অসত্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলো ‘ফর ইউ’ ফিডের জন্য রেস্ট্রিকটেড থাকে। এছাড়া, ভিউয়ার ও ক্রিয়েটর উভয়কেই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।
এছাড়া টিকটকের প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার’ নামে একটি হাব তৈরি করতে যাচ্ছে। এই হাবটির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা ভোট প্রক্রিয়া এবং ভোট কেন্দ্র সহ নির্বাচনের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারবে। যেখানে ব্যবহারকারীদের জন্য স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করা হয়।
প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা নিরপেক্ষ এবং অবাধ রাখার লক্ষ্যে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রে টিকটকের পলিসি রয়েছে। যে কোন ধরনের রাজনৈতিক প্রচার, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এবং রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ করা টিকটকে নিষিদ্ধ। যার ফলে সরকার, রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোর সীমিতভাবে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারে।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।