২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিতে গত বছরের ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ভাবা হয়েছিল, এবার শিঁকে ছিঁড়বে ট্রেবল জয়ী আর্লিং হালান্ডের। কিন্তু না, বিশ্বের প্রতিটি দেশের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং সমর্থকদের ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মত এবারও ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ মেসি।
তৃতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন লিওনেল মেসি। এতে সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আর বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা। এছাড়া নারীদের ফুটবলের বর্ষসেরা হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি।
মেসির চেয়ে নরওয়েজিয়ান তারকা হালান্ডকেই এগিয়ে ধরেছিলেন সবাই। ভোটে অবশ্য সমানে সমানে লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। দুজনের মোট পয়েন্ট সমান হয়ে গিয়েছিল। কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও সমর্থকরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বেছেছেন।
প্রতিটি অবস্থানের জন্য ছিল পয়েন্ট। সেই পয়েন্টই সমান হয়ে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি জনের তালিকায় যিনি প্রথম ছিলেন, তাঁর হাতেই উঠেছে ‘দ্য’ বেস্ট। মেসি অবশ্য লন্ডনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তাঁর হয়ে পুরস্কার নিয়েছেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক থিয়েরি অঁরি। মেসি, হালান্ডের সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পেও ছিলেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তিনি হয়েছেন তৃতীয়। তবে হালান্ড সেরা খেলোয়াড় না হলেও বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা। এমনকি সেরা একাদশেও ট্রেবলজয়ী ম্যান সিটির খেলোয়াড়দের জয়জয়কার। ১১ জনের ৬ জনই যে সিটির। ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে তৃতীয়বারের মত জিতলেন এ পুরস্কার।
বিশ্বকাপ জেতার পর গত বছর লিওনেল মেসি পেয়েছিলেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর। সোমবার লন্ডনে ফিফার সর্বোচ্চ পুরস্কারও গেলো তার দখলে। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হাল্যান্ডকে টপকে ফিফা দ্য বেস্ট হলেন মেসি।