স্বাস্থ্য

হাড় ক্ষয়ে কলার উপকারিতা

মোহনা অনলাইন

বয়স যত বাড়ে তত শরীরে স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে। এরই সাথে কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়তে থাকে হাড় ক্ষয়। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশই অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত এবং এই রোগে নারীরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

বয়স যত বাড়ে তত শরীরে স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে। এরই সাথে কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়তে থাকে হাড় ক্ষয়। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশই অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত এবং এই রোগে নারীরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

বহু মানুষই হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। বয়স বাড়লে এই সমস্যা আরও বাড়ে। কারও হাড় ভাঙার আশঙ্কা বাড়ে তো কেউ খুব দুর্বল হয়ে যান। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু কোনও কোনও খাবার এই সমস্যা আটকে রাখতে পারে। হাড় মজবুত রাখতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কলাতে রয়েছে হাজার রোগের ওষুধ। ম্যাগনেসিয়ামের অন্যতম উৎস এটি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। দাঁত ও হাড়কে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উচিত। কলাতে মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় কে শক্ত, দৃঢ় এবং উন্নত করে। শুধু তাই নয় ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস বা খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যেরকম ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। যাদের ওজন অতিরিক্ত কম, তাদেরও কলা খেতে বলা হয়। কলায় ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেকটা বেশি।

লেকটিন নামক প্রোটিন কলাতে পাওয়া যায় এতে। এই লেকটিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন লিউকোমিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।

হাড় ক্ষয় রোধে নিয়মিত ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দেওয়া উচিত। দুধ, দই, ছানা খাওয়া সবচেয়ে ভাল। তবে যাঁদের মিল্ক অ্যালার্জি আছে তাঁদের সয়াবিনের দুধ, টোফু খাওয়া দরকার। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম পাবেন যে কোনও সবুজ শাক সবজিতেও।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button