নির্বাচন পাতানো ছিল না বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন সরকারকে। নামীদামী দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। পাতানো হলে নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানাল কেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বড় একটা অংশ সংসদ সদস্য হয়েছেন। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেক কথাই বলবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেল? জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। বিএনপি বর্জন করেছে, এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার নেই। ভালো নির্বাচন হয়েছে সে প্রশংসা আসছে। কেবল তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখন বলছে সংসদ অবৈধ।
বহুদেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে তারা অনেক কথা বলেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মানুষ নেই। তাই নির্বাচনে আসলে হেরে যাবে। এই চরম হতাশগ্রস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে বিএনপি। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই সেই দল কীভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দেবে। এই বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছিল। এই বিএনপি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নেতা বানিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তকে ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছে।
বিএনপি তালা লাগাতেও পারে আবার ভাঙতেও পারে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপিকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। নতুন ট্রেনের জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।