দলের সংকটময় মুহূর্ত কিংবা ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাদের দিনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান যিনি। প্রায় ১ যুগের ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার বাংলাদেশ দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। যে কারণে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেটপাড়ায় তাকে ডাকা হয় ‘বিপদের বন্ধু’ নামে। আজ তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, ব্যক্তি খেলোয়াড় হিসেবেও অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেট যদি হয় ভদ্রলোকের খেলা, তবে তিনি যেন তার যোগ্য বিজ্ঞাপন। ভদ্রলোক বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তাই। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে নম্রভদ্র স্বভাবের জন্য বিশেষ পরিচিত তিনি।
আজ থেকে ঠিক ৩৪ বছর আগে, ১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে ময়মনসিংহের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে তিনি আজ পা রাখলেন ৩৪ বছরে। প্রথমদিকে নিজেকে আলাদা করে পরিচয় করাতে না পারলেও ধীরে ধীরে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেন। টেস্ট দিয়ে ২০১০ সালে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান রিয়াদ। এরপর লম্বা সময় সেঞ্চুরিখরা!
তিনি এখন পর্যন্ত ১৮৫টি ওয়ানডে খেলা এ অলরাউন্ডার ৩৩.৮৪ গড়ে রান করেছেন ৩৯৯৪। এর মধ্যে সেঞ্চুরি রয়েছে ৩টি এবং হাফসেঞ্চুরি ২১টি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১২৮। আর বল হাতে নিয়েছেন ৭৬ উইকেট। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই টেস্টে অভিষেক হয় এই তারকার। এখন পর্যন্ত ৪৮ টেস্ট খেলা এ অলরাউন্ডার ৩২.২২ গড়ে রান করেছেন ২৭৩৯। এর মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি আছে ১৬টিতে।
সর্বোচ্চ রান ১৪৬। আর বল হাতে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীল ব্যাটসম্যানদের একজন মাহমুদউল্লাহ। ২৩.৯৫ গড়ে ৮৫টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে করেছেন ১৪৬১ রান। সেঞ্চুরি না থাকলেও ৪টি অর্ধশতক আছে। বল হাতে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। জন্মদিনে সাধারণ ভক্ত ও সতীর্থরা শুভেচ্ছাবাণীতে ভাসাচ্ছেন তাকে।