মমিন কবিরাজের বাড়িতে গেলেই দেখা মিলবে পুকুরে সারিবদ্ধ দড়িতে ভাসছে ফাঁকা প্লাস্টিকের বেশ কিছু বোতল। এক একটি নেটের ফ্রেমে যেখানে সাজানো আছে দশটি করে জীবন্ত ঝিনুক।
টিস্যু পদ্ধতিতে নানা আকৃতির প্লাস্টিকের নিউক্লিয়াস বসানো হয় ঝিনুকের দেহের একপাশে। ৭ থেকে ৮ মাস এসব ঝিনুক পুকুরের পানিতে নেট পদ্ধতিতে সাজিয়ে রাখা হয় । মাঝে মাঝে এসব নেট তুলে ঝিনুকের পরিচর্যা করতে হয়। পরিপক্ক ঝিনুক তুলে সার্জারি পদ্ধতিতে বের করা হয় মুক্তা।
পূবালী ব্যাংকে কর্মরত তরুণ উদ্যোক্তা মমিন করিরাজ নিজ পুকুরে মাছের সাথে মুক্তা চাষ করছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করছেন মুক্তা। ইতিমধ্যে ঝিনুকের থলেতে ১ হাজার ঝিনুকে মুক্তা প্রতিস্থাপন হয়েছে তাতে তার খরচ হয়েচে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ।
ইউটিউব দেখে মুক্তা চাষে আগ্রহী হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মমিন কবিরাজ। শুরুতে পরীক্ষামূলক ভাবে ঝিনুকে মুক্তা চাষ করছেন,এতে সফলতা পেলে বড় আকারে চাষাবাদের পরিকল্পনা আছে তার।
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সোভান গ্রামের বাসিন্দা মমিন কবিরাজ। জানান পুকুরে মুক্তা চাষে কোন ঝুঁকি নেই। এজন্য কোন প্রকার খাবার দিতে হয় না।
বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় ঝিনুকে মুক্তা চাষের প্রচলন নেই। মমিন কবিরাজের ভিন্নধর্মী এই মুক্তা চাষে আগ্রহী হচেছন অনেকেই।
ছোট আকারের এরকম একটি পুকুরে ঝিনুকে মুক্তা চাষ করে বছরে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।