সতীর্থদের মাঝে দাঁড়িয়ে অনিল কুম্বলের হাত থেকে টেস্ট অভিষেকের টুপি নিলেন সরফরাজ খান। ছেলের কেরিয়ারের সব থেকে বড় মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন বাবা-মা। নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না সরফরাজ়ের বাবা নওশাদ। কেঁদে ফেলেন তিনি।
রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্ট শুরু হল চোখে জলে। তবে এই চোখের জল বেদনার নয়, আনন্দে চোখের জল দিয়ে শুরু হল টেস্ট অভিযান। এই টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন সরফরাজ খান ও ধ্রুব জুরেল। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকার পর সরফরাজের অভিষেকটা ছিল বাকিদের থেকে আবেগের। কারণ জাতীয় দলে সুযোগের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় পাঁচ বছরেরেও বেশি সময়। টানা রঞ্জিতে ভালো খেলার পর অবশেষে সুযোগ পেয়েছেন।
রাজকোট টেস্ট শুরুর আগে সরফরাজ খানের হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন অনিল কুম্বলে, অন্য়দিকে ধ্রুব জুরেলের হাতে ক্যাপ তুলে দেন দীনেশ কার্তিক। সরফরাজের হাতে অভিষেক ক্যাপ তুলে দেওয়ার পর দেখা যায় সরফরাজ সরাসরি চলে যান মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর বাবা নওশাদ খানের কাছে। তিনি সরফরাজের হাত থেকে টুপিটা নিয়ে চুমু খান ও কাঁদতে থাকেন।
সরফরাজের স্ত্রী রোমানা জহুর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। সরফরাজ স্ত্রী-র চোখের জল মুছিয়ে দেন ও মাথায় চুমু খান। এরপর রোহিত শর্মা সরফরাজের বাবার কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দেন। সরফরাজের অভিষেককে কেন্দ্র করে রাজকোটে একটা আবেগঘন পরিস্থিতির তৈরি হয়। বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল তিনি পেলেন ও সেটা ভাগ করে নিলেন পরিবারের সঙ্গে। ২০২১ সালের পর ২০২২ সালে সরফরাজ খান রঞ্জিতে সবথেকে বেশি রান করেন। তিনি স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের গড় রানকে টপকে যান।
তবে চলতি সিরিজে সরফরাজ প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তাঁকে প্রথমে দুটো টেস্টের জন্য রাখা হয়নি। কেএল রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা দ্বিতীয় টেস্টে বেরিয়ে যাওয়ার পর সরফরাজ ও রজত পতিদারকে দলে নেওয়া হয়। কিন্তু রজত পতিদারের অভিষেক হলেও ভাইজ্যাগ টেস্টে সরফরাজের অভিষেক হয়নি। অবশেষে অভিষেক হল তাঁর। সরফরাজকে পাঁচ নম্বরে রাখা হয়েছিল। তবে তিনি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেননি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন।