মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধান। সাকিব আল হাসান বিপিএল খেলছিলেন ‘অর্ধেক সাকিব’ হয়ে। চলতি বিপিএলে একক আধিপত্য চলছে রংপুর রাইডার্সের। আসরে টানা সপ্তম জয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সাকিব-সোহানরা। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে চট্টগ্রামের মাঠে চট্টগ্রামকে তারা হারিয়েছে ১৮ রানে।
১০ ম্যাচে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের প্লেঅফও নিশ্চিত হয়েছে রংপুরের। পয়েন্টে তাদের টপকানোর সুযোগ নেই শীর্ষ চার দলের বাইরে থাকা কোনো দলের। তিনে থাকা ফরচুন বরিশাল নিজেদের বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে রংপুরের সমান ১৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে।
বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে এসে নিজের ব্যাটিং ফর্ম যেন নতুন করে ফিরে পেয়েছেন সাকিব। চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে আজও খেলেছেন ৩৯ বলে পাঁচ চার ও তিন চারে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সাকিব ঝড়েই এলোমেলো হয়ে যায় চট্টগ্রামের বোলিং লাইনআপ।
রংপুরের দেওয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ৩২ রানেই তিন উইকেট হারায় তারা। এরপর ৪৫ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন অধিনায়ক শুভাগত হোম ও টম ব্রুস। কিন্তু এক রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।
যদিও রোমারিও শেপার্ড চেষ্টা করেছেন দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যেতে। তবে তার ৩০ বলে ৬৬ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রাইডার্সের পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন।
অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে না পারায় সাকিব নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়েছিলেন। সেটি নিশ্চয়ই এখন আর নেই। সর্বশেষ দুই ম্যাচে সাকিব ছক্কা মেরেছেন ৯টি। যার প্রায় বেশির ভাগই এসেছে মিডউইকেট অঞ্চল দিয়ে। এই দুই ম্যাচের কারণে স্ট্রাইক রেটটাও এখন দুর্দান্ত—১৭১.৯২। অর্থাৎ সাকিব বলটা এখন ভালোই দেখছেন!