গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখন্ড গ্রামে মৌমাছির কামড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন । তাঁদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও মৌমাছির কামড়ে আহত হয়েছে ৫ গরু ও কুকুর।
শুক্রবার বিকেলের দিকে ওই গ্রামের হাজী রমজান আলী মসজিদের পাশের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গত রাতে মৌমাছির কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬ জন। তাদের মধ্যে তারা বানু, মো. তন্ময় ও রিয়া আক্তার উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার মাওনা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি গেছেন মোসা. মর্জিনা, মোঃ আল-আমিন ও রাসেল মিয়া। অপরদিকে মাওনা এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মো. রোকন, ফরহাদ মিয়া ও আল আমিন।
মৌমাছির কামড়ে ওই বাড়ির মোঃ আলম মিয়ার তিনটি ও কামরুল ইসলামের আরো তিনটি গরু আহত হয়েছে। প্রত্যেকটি গরুর পুরো শরীরে শত শত ক্ষত। এছাড়া মৌমাছি কামড়ে আহত হয়েছে ওই বাড়ির পোষা কুকুর।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল শেখ বলেন, তার বড় ভাই আলম মিয়ার বাড়ির একটি গাছে মৌমাছি বাসা বেধেছে। গাছের নিচে ও আশপাশে সব সময় গরু বাধা থাকে। শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ সেই বাসায় হামলে পড়ে বাজপাখি। এতে মৌচাকের কিছু অংশ গরুর কাছে এসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই মৌমাছি গরুগুলোকে কামড়াতে থাকে। খুব দ্রুত মৌমাছি আশপাশের ছড়িয়ে পড়ে ও লোকজনকে কামড়াতে থাকে। মৌমাছি তাড়াতে স্থানীয় লোকজন ঘরে আগুন দিয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করেন। মৌমাছির কামড়ে আহত লোকজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেকজন ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী মোসা . ইয়াসমিন মুঠোফোনে বলেন, তার স্বামীর পিঠ, হাত ও মুখে কামড়ের ফলে প্রচুর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: জারিন বলেন,’ বিষাক্ত পোকা কামড়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গায়ে খুব বেশি জ্বর কিংবা মারাত্মক আহতদের জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়”।