ইন্টার মায়ামির হয়ে কনক্যাকাফে চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের সেই চোট তার জাতীয় দলের আসন্ন দুই ম্যাচে খেলা অনিশ্চিত করে তুলেছিল। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
শঙ্কাটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচের আর্জেন্টিনা দল থেকে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আজ (মঙ্গলবার) নিশ্চিত করা হয়েছে মেসির না খেলার বিষয়টি । আর্জেন্টিনার দলীয় সূত্র অফিসিয়াল বার্তায় জানিয়েছে, ডান পায়ে চোটের কারণে আসন্ন দুই ম্যাচ মিস করতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।
কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি উপলক্ষে চলতি মাসেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা আর্জেন্টিনার। একটি ম্যাচে প্রতিপক্ষ এল সালভাদর। অন্য ম্যাচে প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। তবে দুই ম্যাচের কোনোটিতেই থাকছেন না মেসি। পাওলো দিবালা, এজাকুয়েল পালাসিওস এবং মার্কোস সেনেসির সঙ্গে মেসিও বাদ যাচ্ছেন।
বর্তমানে ফিলাডেলফিয়াতে অনুশীলন করছে আর্জেন্টিনার জাতীয় দল। সেখান থেকেই জানানো হয়েছে মেসিকে নিয়ে দুঃসংবাদ, ‘আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ন্যাশভিলের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে পাওয়া চোটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচগুলো মিস করতে যাচ্ছেন।’
কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফিলাডেলফিয়ায় তারা ২৩ মার্চ মুখোমুখি হবে এল সালভাদরের। এরপর ২৭ মার্চ তিনবারের বিশ্বজয়ীরা লস অ্যাঞ্জেলসে কোস্টারিকার মোকাবিলা করবে। এই ম্যাচ দুটির আগে একাধিক ফুটবলারের ইনজুরি ভাবনায় ফেলছে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে।
মেসি এবার ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। উত্তরটা সবার আগে দিয়েছেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ড টাটা মার্টিনো। এই কোচের ভাষ্য, কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন কাপে মেসিকে আবার দেখা যাবে ফুটবলের মাঠে। সে অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মাঠে ফিরবেন মেসি।
‘মেসির ইনজুরি এমন, প্রতি সপ্তাহেই নজরে রাখতে হবে। বিষয়টা পরিস্কার, তার একটা লক্ষ্য আছে। সেটা হলো কনকাকাফের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা।’ বলছিলেন জেরার্ড মার্টিনো। সূচি অনুযায়ী, এপ্রিলের তিন তারিখ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে মেক্সিকোর ক্লাব সিএফ মনটেরির বিপক্ষে খেলবে মায়ামি।
সাম্প্রতিক সময়টা অবশ্য মেসির জন্য কিছুটা অস্বস্তিরই ছিল। গত মৌসুমের শেষদিকে অনেকগুলো ম্যাচই এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা মিস করেছেন ইনজুরির জন্য। সেবারও মেসির জন্য দূর্ভাগ্য ডেকে এনেছিল এই মাংসপেশির ইনজুরি।
গত মৌসুমের পর মায়ামির প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিপর্বেও হংকং একাদশের বিপক্ষে মাঠে নামেননি মেসি। যদিও এরপরেই জাপানে খেলতে গিয়েছিলেন। সে নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। এসবের বাইরে গিয়ে সবচেয়ে বড় সত্য, মেসির শারীরিক অবস্থা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন নাজুক। মাংসপেশির ইনজুরিতে সত্যিই ভুগতে হচ্ছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়কে।