সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এই সময় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রতিদনি রোজা রেখে থাকেন। অনেকেই রোজা রেখে সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নিতে চান এটা ঠিক না। ইফতারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দেওয়া আপনার জন্য মঙ্গলজনক।
পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ইফতার হওয়া উচিত। যা শারীরিক শক্তি জোগাবে, কর্মচঞ্চল রাখবে, প্রোটিন, শর্করাসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে, ক্লান্তি ভাব দূর করতে কাজ করবে তেমনই একটি খাবার দই চিড়া।
ইফতারে চিড়া-গুড় কিংবা দই-চিড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। চিড়া ভিজিয়ে তাতে চিনি, গুড় কিংবা দই মিশিয়ে খাওয়া হয়। চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসাথে ক্ষুধা মেটায়। চিড়া দিয়ে বিভিন্ন রকম মোয়া ও মজার সব খাবার তৈরি করা যায়।
চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোনো সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে যা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই চিড়া খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।