জীবনধারা

গরমে যেসব পোশাক হবে আরামদায়ক

মোহনা অনলাইন

গরম এলেই সবার মনে পোশাক নিয়ে প্রশ্ন আসেই। কী পরলে আরাম পাওয়া যাবে তা খুঁজতে থাকেন সবাই। অনেকেই গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যান। এমন সময়  অনেকেই চিন্তিত থাকেন গরমে স্টাইলের সঙ্গে কোনো পোশাকটি আমাদেরকে আরাম দেবে। তাই গরমে আমরা বাসা থেকে বেরোতে গেলেই আরামদায়ক পোশাক খুজে থাকি। আবার স্টাইলের কথাও মাথায় রাখতে হয়। তাই আমরা এমন পোশাক বেছে নিয়ে থাকি যেটা স্টাইল এবং আরাম দুই-ই দেবে।

জেনে নিই গরমে কোন ধরনের পোশাক কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে–

জাম্প স্যুট, লম্বা শার্ট ঘরানার পোশাকও গরম আবহাওয়ায় স্বস্তি দিতে পারে। এখন এ পোশাকগুলোও বেশ ট্রেন্ডি। তবে অবশ্যই স্থান বুঝে কাপড় নির্বাচন করতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য সুতি ও লিলেন কাপড়ের পোশাক পরতে পারেন।

কুর্তি বর্তমানে সব নারীই পরতে পছন্দ করেন। লম্বা কামিজ অথবা গোল হলেও আরামদায়ক হয় কুর্তি। রং ও ডিজাইনের পার্থক্যে সুতি বা হালকা ফেব্রিক্সের কুর্তি পরতে পারেন গরমে।

গরমে টি-শার্ট ব্যবহারের বিকল্প নেই। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার জন্যই সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক হলো টি-শার্ট। তবে কাপড়ের ধরন ও হালকা রং দেখে গরমে টি-শার্ট পরবেন।

অনেকেই নিয়মিত শাড়ি পরে অফিস করেন। আবার বিশেষ দিনগুলোতেও নারীরা শাড়ি পরে থাকেন। সেক্ষেত্রে সুতির ছাপা শাড়ি, ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি অথবা ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি পরতে পারেন। ব্লাউজের ক্ষেত্রে পেছনের গলা বড় রাখতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা হাফহাতা হলেও বেশ আরামদায়ক হবে। সেসঙ্গে গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি পরুন।

ফ্যাশনে ফতুয়ার জনপ্রিয়তা অনেক। গরমে নারী-পুরুষ সবাই জিন্সের সঙ্গে ফতুয়া পরতে পারেন। এছাড়াও নারীরা ফতুয়ার সঙ্গে ধুতি সালোয়ার, পালাজো বা স্কার্টও পরতে পারবেন। এ সময় হালকা রঙের ওপর বিভিন্ন সুতার কারুকাজ করা ফতুয়া বেছে নিতে পারেন।

পাতলা সাটিন অথবা জর্জেটের শাড়িও গরমের জন্য আরামদায়ক। কাজের ক্ষেত্রে সুতার কাজকে প্রাধান্য দিলে পোশাকটি ভারী লাগবে না। দিনের বেলার জন্য পিচ, লেবু, সাদা, প্যাস্টেল রংগুলো বেছে নিন। তবে অনেকেই উজ্জ্বলতার ছোঁয়া রাখতে চান পোশাকে।

গরমে হালকা রঙের পোশাক ব্যবহার করুন। হালকা নীল, সাদা, গোলাপি, লেমন কালার, হালকা বেগুনি, আকাশি– এসব রঙের পোশাকই গরমে আরামদায়ক।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button