সূর্যের প্রবল তাপে পুড়ছে গোটা দেশ। ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু করে পেট খারাপ, গরমে নানা ধরনের রোগের উৎপত্তি হয়। কিন্তু কিছু রোগ এমনও থাকে, যা সারাবছর পিছু ছাড়ে না। যেমন কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, গ্যাস-অম্বল ইত্যাদি।
প্রচণ্ড গরম আর রোদে যাঁরা বাইরে কাজ করছেন, তাঁদের শরীর দ্রুত পানি হারায়। ফলে বারবার পানি পান করতে হয়। খাবারের মাধ্যমেও প্রায় ২০ শতাংশ পানি আমরা গ্রহণ করে থাকি। তাই এ গরমে পানির চাহিদা পূরণ করতে এমন খাবার খেতে হবে, যাতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। জেনে নিন এ রকম কয়েকটি খাবার সম্পর্কে:
শসা: এই সবজির ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশই পানি। তাই শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে শসার জুড়ি নেই। আস্ত বা সালাদ করে খাওয়ার পাশাপাশি পুদিনা ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে (ব্লেন্ড করে) খাওয়া যায়।
মুলা: মুলাতেও (সাদা বা গোলাপি) আছে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি।
টমেটো: এতে জলীয় অংশ প্রায় ৯৬ শতাংশ। টমেটো একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’-এর চমৎকার উৎস। তাই দিনের কোনো এক সময় কেবল নাশতা হিসেবেও টুকরো করা তাজা টমেটো খেতে পারেন।
চালকুমড়া: চালকুমড়ো গরমে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এই সবজির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। গরমে নাক দিয়ে রক্তপাতের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে চালকুমড়ো।
ক্যাপসিকাম: এই সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি (৯৩ শতাংশ) পানি আছে সবুজ ক্যাপসিকামে। তাই সালাদ বা নাশতায় সবুজ ক্যাপসিকাম যোগ করতে পারেন।
লাউ: গরমে খেতে পারেন লাউ, জালি কুমড়া ইত্যাদি সবজি। এগুলোতে পানি ছাড়াও ফলেট, ভিটামিন ‘সি’ ইত্যাদি বেশি পরিমাণে থাকে। এসব সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ কম বলে বেশি খেলেও শরীরের ওজন বাড়ে না।
ঝিঙা: ঝিঙা রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং লিভারকে ডিটক্সিফাই করে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমিয়ে দেয় এই সবজি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গরমে এই সবজি অবশ্যই পাতে রাখুন।
শাকপাতা: লেটুস পাতা ও পালংশাকেও পানির পরিমাণ অনেক। এগুলোতে ভিটামিনও পাওয়া যায় অনেক।