গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা! একে তো গরমে ধূলো আর ঘাম, তার সঙ্গে চুলের রুক্ষভাব তো আছেই! সব মিলিয়ে গরম এলেই খুসকি ,আগাফাটা চুল , চুলের রুক্ষতা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে! বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। কাজেই এই গরমের দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেয়া দরকার ।
চুলেরও চাই এসপিএফ
বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন।
চুল বেঁধে রাখুন
গরমে খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো! স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখুন চুল। তাই বলে কিন্তু সারাদিন বেঁধে রাখবেন না! ফলে চুলের গোড়ায় খুব ঘাম জমে যায়। মাঝে-মধ্যে চুল খুলে পাখার নিচে বসুন, ভালো করে চুলটা শুকিয়ে নিন।
শ্যাম্পুর ব্যবহার
চুলের সম্পূর্ণ ভালো করতে ডাক্তারের পরামর্শে শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, অর্গান অয়েল-বেজড শ্যাম্পু চুলের পক্ষে ভালো! একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি! চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা রক্ষা
গরম আর ঘাম চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি! কিন্তু তাতে চুল রুক্ষ হওয়া অবশ্যম্ভাবী! সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনোমতেই শ্যাম্পু করবেন না আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন!
আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো! সাতদিন বা চৌদ্দদিন অন্তর চুলে অয়েল ম্যাসাজ নিন।
চুল ছোট করে কেটে নিন
এই গরমে চুল একটু ছোট করে কেটে ফেললে আরাম পাবেন। এতে চুল ভিজবে কম এবং চুল আবার বড় হয়ে যাবে।
ভেজা চুল বাঁধবেন না
চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখলে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, চুলের গোড়ায় ঘামও জমতে থাকে। চুল ভালো করে শুকিয়ে তবে আলগা করে বেঁধে রাখবেন। কারণ খুব টাইট করে বাঁধলে গোড়ায় চাপ পড়ে চুল দুর্বল হয়ে যাবে।