গ্রীষ্মকাল হলো আমের মৌসুম। গরমকালে আমের জন্য অস্বস্তিও মেনে নিতে রাজি অনেকেই। বাজারে নতুন আম আসতে শুরু করেছে। আর কিছুদিন পরই পুরোদমে বাজারে পাওয়া যাবে পাকা আম। আর আমের গন্ধে মৌ মৌ করবে বাজার। কিন্তু, পাকা আমের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রয়কারীরা কৃত্রিমভাবে মেডিসিন অর্থাৎ ফরমালিন দিয়ে আম পাকানো শুরু করে। ইনজেকশন দিয়ে নানা ক্ষতিকর মেডিসিন আমে ঢুকিয়ে দ্রুত পাকানো হয়। তাই কেনার আগে রাসায়নিক পদার্থে ভরপুর আম শনাক্ত করার জন্য এখানে কিছু টিপস জেনে নেওয়া উচিত।
আম পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহার
আম পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়। আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে এটি অ্যাসিটিলিন নামক গ্যাস ছড়ায়। এতে আম দ্রুত পাকে। এটি আমাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ত্বকের জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আবার ফল ব্যবসায়ীরাও আম পাকাতে ‘ইথিলিন ট্রিটমেন্ট’ ব্যবহার করেন। এ সময় ফলকে ইথিলিন গ্যাসের সংস্পর্শে আনা হয়। এই গ্যাস একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ হরমোন। যা ফল দ্রুত পাকতে সাহায্য করে
টিপে দেখুন
আম কেনার সময় হালকা টিপে দেখুন। নরম হলে আমটি পাকা ও মিষ্টি হবে। কিন্তু আম টিপলে কিছু জায়গায় শক্ত মনে হলে বুঝে নিবেন আম ঠিকমতো পাকেনি। অর্থাৎ কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম বিক্রি করা হচ্ছে।
আমের রঙ ধরাতে
আম কেনার সময় আমের রঙ দেখতে ভুলবেন না। একটি আম রাসায়নিকভাবে পাকানো হলে, তাতে সবুজ দাগ পড়ে। এই দাগগুলো আলাদাভাবে দৃশ্যমান হয়।
আমের আকার
আমের আকার আপনাকে জানিয়ে দেবে যে, এটি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়েছে কিনা। রাসায়নিকভাবে পাকা আম আকারে ছোট হয়। এ ছাড়া, সাদা বা নীল আভার আমও কেনা উচিত নয়।
ওয়াটার টেস্ট
আম কেনার সময় পানিতে ডুবিয়ে দেখুন। যে আমগুলো পানিতে ডুবে যায় সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই পাকা আম। কিন্তু যেগুলো না ডুবে ভাসমান অবস্থায় থাকে, সেগুলো রাসায়নিকভাবে পাকানো হয়েছে।