জীবনধারা

যে ৫ গোপন বিষয় বিয়ের আগেই জেনে নেওয়া ভালো

মোহনা অনলাইন

বিয়ে জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্তটি এমনই যেখানে নিজের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে অন্য একজন মানুষের ভবিষ্যৎও। কাজেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ভালো-মন্দের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক।

যদি পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তবে বিয়ের আগে আলাপচারিতার সুযোগ কিছু কমই পাওয়া যায়। যারা সম্পর্ক করে বিয়ে করেন তাদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণটা কিন্তু খানিকটা হলেও বদলে যায়। কোনো মানুষের সঙ্গে রোজ কয়েক ঘণ্টার আলাপ আর দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটানোর মধ্যে অনেক পার্থক্য। কাজেই বিয়ের আগে একে অপরকে ভালোভাবে জানতে কিছু আলোচনা আবশ্যক।

 

পারস্পারিক যোগাযোগ

যেহেতু দুজন মানুষ বিয়ের পর সারাজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতীজ্ঞা করছেন তাই পারস্পারিক যোগাযোগের ধরন যাচাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ এবং তর্কের সময়ে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানান তা তাকে জানানোও গুরুত্বপূর্ণ। বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়াতে কার্যকর যোগাযোগের কৌশল এবং অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য। হবু সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিষয়ই বুঝতে পারা সহজ হবে।

 

পার্সোনাল স্পেস

 

দাম্পত্য জীবনেও পার্সোনাল স্পেস এবং বাউন্ডারি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সুখী এবং পরিপূর্ণ সম্পর্ক অর্জনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মতো করে কিছুটা সময় একা কাটানো কিংবা পার্সোনাল স্পেসের জন্য পরবর্তীতে যেন পরস্পরকে দোষারোপ করা না হয় তাই আগেভাগেই কথা বলে নিন। যদি এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে পছন্দ বা ব্যক্তিত্ব না মেলে তাহলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই পুনরায় ভেবে দেখার সুযোগ থেকে যাবে।

সম্পর্কের প্রত্যাশা

কথা বলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি দুজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কী আশা করেন তা জানানো, আপনার আবেগ এবং বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনাও এর অংশ হতে পারে। বিয়ে, প্রতিশ্রুতি এবং আপনি উভয়ে কীভাবে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে চান তা নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য। খোলাখুলিভাবে আপনার চিন্তা প্রকাশ করতে ভুলবেন না। একে অপরের অনুভূতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি মনোযোগ সহকারে শুনুন। এই কথোপকথন একটি শক্তিশালী এবং সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।

 

আর্থিক অবস্থা

বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সঙ্গে আপনার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোলামেলা এবং স্বচ্ছ আলোচনা হওয়া জরুরি। আপনার আয়, ঋণ, সঞ্চয় এবং ব্যয় করার অভ্যাস সম্পর্কে সৎভাবে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতি হিসাবে আপনি কীভাবে যৌথ ব্যয় এবং আর্থিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবেন তা সহ দীর্ঘমেয়াদী বাজেট এবং আর্থিক পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন। এতে একে অপরের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন এবং একসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবেন।

পরিবার পরিকল্পনা

বিয়ে করার আগে পরিবার শুরু করার বিষয়ে একে অপরের মতামত বোঝা অপরিহার্য। এর মধ্যে রয়েছে পছন্দসই সন্তানের সংখ্যা, কখন আপনি অভিভাবক হতে চান এবং আপনার পছন্দের অভিভাবকত্ব শৈলী নিয়ে আলোচনা করা। কাজ করার সময় এবং বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার সময়, বাচ্চাদের ভবিষ্যত এবং পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা এবং কাজ ও পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে কথা বলাও গুরুত্বপূর্ণ।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button