![কর্মক্ষেত্রে বন্ধু বানাবেন কীভাবে | Mohona TV প্রতিটি মানুষের স্বভাব বৈশিষ্ট্য আলাদা কেউ কেউ সবার সঙ্গে মিশতে ভালোবাসেন আবার অনেকেই চট করে অন্যের সঙ্গে মিশতে চান না তবে এমন অনেকেই আছেন যারা খুব মিশুক হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সুম্মাখীন হন ভালো বন্ধু না পেয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই](https://mohona.tv/wp-content/uploads/2024/05/friendship-work.jpg)
প্রতিটি মানুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য আলাদা। কেউ কেউ সবার সঙ্গে মিশতে ভালোবাসেন। আবার অনেকেই চট করে অন্যের সঙ্গে মিশতে চান না। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা খুব মিশুক হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সুম্মাখীন হন। ভালো বন্ধু না পেয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
অফিসের পরিবেশ বন্ধুত্বপূর্ণ হলে কাজ করাটা সহজ লাগে, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। অফিসে সবাই সহকর্মী হলেও কারও কারও সঙ্গে সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারলে সময়টা আরও আনন্দদায়ক হয়। তখন অনেক কাজের মধ্যে থাকলেও বন্ধুর সাহচর্যে মনমেজাজ ভালো থাকে।
সহপাঠীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার মতো কর্মক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবে বন্ধুত্ব হয় না। সেখানে একটু প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি আপনার সহকর্মীদের সাথে নিজেকে পরিচিত করতে চান এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চান তাহলে কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।
নাম জানুন: কারও প্রতি আপনার আগ্রহ দেখানোর একটি সহজ উপায় হল তার নাম মনে রাখা এবং সম্বোধন করার সময় এটি ব্যবহার করা। অনেকেরই প্রথম পরিচয়ের পর কারও নাম মনে রাখতে অসুবিধা হয়।
প্রশ্ন করুন: আরেকজনকে জানতে চাওয়ার আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে প্রশ্ন করা। প্রাথমিকভাবে, কাজের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করুন, কারণ কর্মক্ষেত্রে সবাই ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন তার কাজ কী,সে ওই সংস্থায় কতদিন কাজ করছে, কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে ভালো স্মৃতি কী ইত্যাদি।
হাসিমুখে কথা বলা: কাউকে জানার জন্য প্রকৃত আগ্রহ দেখানোর আরেকটি উপায় হল চোখের মাধ্যমে যোগাযোগ তৈরি করা। তার দিকে তাকিয়ে হাসি দেওয়া। এতে আরেকজন বুঝতে পারবে আপনি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছেন।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিন : অনেক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন কর্মীদের একে অপরের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়। অফিসের পরে এসব অনুষ্ঠান, গ্রুপ লাঞ্চ আউটিং সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে সহায়তা করবে।
সাহায্য করার মানসিকতা: অতিরিক্ত কাজ অনেকসময় কর্মক্ষেত্রে চাপ তৈরি করে। যার ফলে অনেকের মধ্যে হতাশা, অসুখী ভাব দেখা দেয়। আপনি যার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান তাকে কাজে সাহায্য করতে পারেন। আপনার নিজের কিছু সময় যদি তার জন্য ব্যয় করেন তাহলে দুজনের মধ্যে একটা আন্তরিকতা গড়ে উঠবে।
খাবার বা পানীয়ের প্রস্তাব: সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার একটি ভালো উপায় হচ্ছে তাদের সঙ্গে খাবার-পানীয় শেয়ার করা। সেক্ষেত্রে হালকা নাশতা করার সময় তাদের ডাকতে পারেন।
কফি পান বা দুপুরের খাবারের জন্য বাইরে যান : কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আরেকটি ভালো উপায় হলো একসাথে সময় কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া। এজন্য মাঝেমধ্যে একসঙ্গে তাদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে যেতে পারেন বা কফি খেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রের বাইরেও এটা করতে পারেন। এতে তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।