ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ফলে রূপচর্চার রুটিনও পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পরে। শীতের রূপচর্চা আর গরমের রূপচর্চার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। তার জন্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না। ভেতর থেকেও যেন ত্বক ভালো থাকে সেজন্য মৌসুমি বিভিন্ন ফল খেতে হবে।
ত্বক ঝকঝকে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন তরমুজের কিছু প্যাক, জেনে নিন কী কী-
টকদই ও তরমুজ
গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজ এবং টকদই খুবই উপকারী। তাই এ দুটি উপদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। ফেটানো টকদইয়ের মধ্যে তরমুজ আর সামান্য মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল।
তরমুজ ও টমেটোর রস
ত্বকের ছিদ্রমুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ এবং টমেটোর রস একসঙ্গে মিক্সড করে ব্যবহার করলে বাড়তি সুফল মিলবে।
বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এ মিশ্রণটি সত্যিই দারুণ কাজ করে। তরমুজের ক্বাথের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। কয়েক মুহূর্তে ত্বকে আসবে দারুণ জেল্লা।
তরমুজ ও কলার ফেসপ্যাক
কলা ত্বককে খুব ভালোভাবে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটা পটাশিয়াম ও ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ফল যা শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখে। কলাতে আছে ভিটামিন এ, যা ত্বক মসৃণ রাখে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে।
ত্বক সুন্দর রাখার জন্য কলার ভূমিকা অনবদ্য। তরমুজ ও কলা যদি ত্বকের যত্নে কাজে লাগান, সুফল পাবেন। এক কাপ তরমুজ ও দুটি পাকা কলা একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে।
বাইরে থেকে ফিরে এ প্যাক ত্বকে মাখুন, ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুহূর্তেই ত্বক টানটান ও মসৃণ হয়ে যাবে।