মিষ্টি আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রনসহ একাধিক উপকারী উপাদান। আর এ উপাদান কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মিষ্টি আলুতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আসুন জানি মিষ্টি আলু খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন আছে, যা আমাদের দেহে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।
হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুর সুস্থতা বজায় রাখে মিষ্টি আলু। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।
মিষ্টি আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে কোনো ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ নেই। আঁশজাতীয় মিষ্টি আলু খেলে ক্ষুধা লাগে না সহজে। ডায়েট চার্টে তাই এটি রাখতে পারেন সহজেই।
গর্ভবতী মায়ের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি সহায়ক। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পটাশিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়।
মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কলার চেয়েও বেশি পটাশিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেট, কিডনি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
এই আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম, তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন। ফাইবার সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু খেলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।