জীবনধারা

পেটের মেদ কমাবে যেসব পানীয়

মোহনা অনলাইন

বেলি ফ্যাটের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। শরীরের এই অংশে মেদ তাড়াতাড়ি বাড়লেও কমতে অনেকটা সময় লেগে যায়। বিভিন্ন ব্যায়াম ও যোগ অভ্যাস করা হয় বেলি ফ্যাট কমাতে। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজন ডায়েটে নজর দেয়া।

পেটের মেদ প্রধান কারণ অনিয়মিত আর অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত ঘুম এবং শরীরচর্চার অভাব। পেটের মেদ বাড়লে দেখতে যে কেবল খারাপ লাগে তাই নয়, সেইসঙ্গে বিভিন্ন অসুখের কারণও হতে পারে। তাই পেটের বাড়তি মেদ ঝরানোর স্বাস্থ্যকর উপায় বেছে নিতে হবে। কিছু উপকারী পানীয় আছে যেগুলো পান করলে এই যাত্রা অনেকটাই সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পালং শাকের জুস

পালং শাকের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কম ক্যালোরি ও প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ এই শাক আপনার মেদ কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। এই শাকের প্রচুর আয়রনও থাকে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। পালং শাকের জুস তৈরি করে খেলে তা আপনাকে পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

২. জিরা পানি

জিরের ‘থার্মোকুইনান’ নামক যৌগটি পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। এ ছাড়াও জিরেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ পেটফাঁপা, গ্যাস, অম্বল কমাতে সাহায্য করে।

৩. শসা ও মাল্টার জুস

শসায় ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এবং মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুই উপকরণ একসঙ্গে জুস করে খেলে তা আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। তাই পেটের মেদ কমাতে এই জুস তৈরি করে খেতে পারেন।

৪. ইসবগুলের ভূসি

এই পানীয়ে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুন কাজ করে এই ইসবগুলের ভূসি। সামগ্রিক ভাবে পেট ভাল থাকলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর।

৫.লেবু ও মধুর পানি

উষ্ণ গরম পানিতে লেবু খেতে বহু মানুষ বলে থাকেন। এটি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, পেকটিন ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে যা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে। ফলে বেলি ফ্যাটও কমতে পারে।

৬. মৌরি ভেজান জল

মেদ ঝরাতে নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে। মৌরিতে থাকা যৌগগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে মৌরি ভেজান জল।

৭. আমলকির জুস

আমলকির জুস ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকে সহায়তা করে। এটি বিপাককে উন্নত করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই এই জুস নিয়মিত পান করুন এবং একগুঁয়ে পেটের মেদকে বিদায় জানান। কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলেও এক্ষেত্রে উপকার পাবেন।

৮. গ্রিন টি ও পুদিনা

গ্রিন টি ও পুদিনা এই দুই উপকরণেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস উপাদান থাকে। এই দুই দিয়ে পানীয় বানিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। হজমের সমস্যা দূর হবে, পেটের সমস্যা দূর হবে এবং সেখান থেকেও শরীর সুস্থ থাকার সম্ভাবনা থাকবে। পেট ভালো থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সঙ্গে বেলি ফ্যাটও কমতে পারে।

৯. শসা ও মাল্টার জুস

শসায় ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এবং মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুই উপকরণ একসঙ্গে জুস করে খেলে তা আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। তাই পেটের মেদ কমাতে এই জুস তৈরি করে খেতে পারেন।

১০. মেথি ভেজানো পানি

মেথির একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি সুগার নিয়ন্ত্রণ করে, লিভার ভালো রাখে ও মেটাবলিজম বাড়ায়। পাশাপাশি মেথি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খেতে মেদ কমতে পারে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button