ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ঢাকাতে আটক হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জেলা শহরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অপর দিকে আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল ৪টা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাত ৭টা পর্যন্ত চলে এ সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু। তবে ওই সভায় দলের অনেক সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অন্যান্যদের মধ্যে সাইদুল করিম মিন্টুর বড় বোন দীপ্তি রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভা চলাকালীন খবর আসে সাইদুল করিম মিন্টু ঢাকাতে আটক হয়েছেন। মিন্টু আটকের বিষয়ে অনুষ্ঠানিক ভাবে কোন আলোচনা ওই সভায় করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। রাত ৭টা পর্যন্ত চলে ওই সভা। সভা শেষে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
কথা প্রসংঙ্গে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু (জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) বলেন, সাইদুল করিম মিন্টু আটকের খবর মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়েছে। এখনো সরকারী ভাবে কোন খবর আসেনি। যে কারণে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছেনা।
তিনি আরো বলেন, দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের জন্য আহবান করা বিশেষ সভা ঈদ পর্যন্ত মুলতবী করা হয়েছে। এমপি আনার হত্যা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শফিকুল ইসলাম অপু বলেন তদন্ত চলমান রয়েছে । যে কারণে আনুষ্ঠনিক ভাবে কোন কথা আমি বলবোনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি (শফিকুল ইসলাম অপু) বলেন আইনের উর্দ্ধে কেও নন।
এদিকে সাইদুল করিম মিন্টু আটকের খবরে ছড়িয়ে পড়লে মিন্টু সর্মথকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। শহর জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন বলেছেন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মিছিল মিটিং হবে এমন কোন খবর নেই বলে জানান ওসি।