ফল বা সবজি খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। রোজের মেনুতে মাছ, মাংস, ডিম যতই থাক, সবজি ও ফল খেতেই হবে। নিয়মিত শাকসবজি ও ফল খেলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন বাজার করার সময় মেলে না সবার। সেক্ষেত্রে পুরো সপ্তাহের কাঁচাবাজার ও ফলফলাদি একদিনেই করে রাখা হয়। যতোই ফ্রিজে রাখা হোক না কেন, সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে শাক-সবজি আর আগের মতো তাজা থাকে না। কিন্তু কিছু উপায় মেনে চললে শাক-সবজি সপ্তাহজুড়েই তাজা থাকবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
প্লাস্টিকের ব্যাগে/ফ্রিজে টমেটো নয় : প্লাস্টিকের ব্যাগে না রেখে টমেটো খোলা জায়গায় অথবা কাগজের ব্যাগে রাখা ভালো। নাহলে টমেটোর ইথিলিন প্লাস্টিকের ব্যাগে আটকে যাবে। আর টমেটো তিনদিনের বেশি ফ্রিজে রাখলে জীনগত কারণে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। টমেটো বেশি কাঁচা হলে এটি পাকাতে কলাসহ টমেটোগুলোকে ব্যাগে ভরে ফেলুন।
আপেল ও কলা আলাদা রাখুন: অন্য ফলের চেয়ে আপেল ও কলাতে বেশি পরিমাণ ইথিলিন (এক ধরনের হরমোন যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে) থাকে। এ দুটো ফল এর আশেপাশে রাখা ফলগুলোকে দ্রুত পাকিয়ে ফেলতে পারে। ফলের ঝুড়ি থেকে আপেল ও কলাকে তাই আলাদা করে রাখুন। কলা বেশিদিন সজীব রাখতে ভুলেও ফ্রিজে রাখতে যাবেন না। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কলার খোসা কালো হয়ে যায়। এর পরিবর্তে পুরো কলার ঝুড়িটি প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখুন। এভাবে কলাতে থাকা ইথিলিন দ্রুত বের হয়ে আসে। ফলে কলা দ্রুত পাকবে না।
আলু ফ্রিজে নয় : আলুর জন্যে ফ্রিজ খুবই ঠাণ্ডা জায়গা। আবার আলুকে কম তাপমাত্রায় রাখা হলে স্টার্চ শর্করার মধ্যে ঢুকে যায়। যার ফলে স্বাদ নষ্ট হয়।
পেঁয়াজ ও আলু একসঙ্গে নয়: পেঁয়াজ ও আলুর রান্না অসাধারণ হলেও রান্নার আগে কখনই এদের একসঙ্গে রাখা যাবে না। দুটোকেই আলো থেকে দূরে ঠাণ্ডা, শুষ্ক ও বাতাসযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। এ দুটো একসঙ্গে রাখলে দ্রুত এগুলো থেকে গাছ বের হবে।
ঘরের তাপমাত্রায় তরমুজ: ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারালের গবেষকরা দেখেছেন, ফ্রিজে রাখার চেয়ে ঘরে রাখা তরমুজে অনেক বেশি পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি সত্যিই ঠাণ্ডা তরমুজ খেতে চান, তাহলে তরমুজের টুকরা খাওয়ার কয়েক মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে পারেন।
রসুন: রসুন আটসাঁট করে একসঙ্গে রাখা ভালো। রসুনের মাথাগুলোকে একসঙ্গে করে বাঁধুন। এই উপায়টি করা হয় একটার সঙ্গে আরেকটা সংস্পর্শে রাখার জন্য। যাতে বেশিদিন ভালো থাকে।
মাশরুম: মাশরুম প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বক্স থেকে আলাদা রাখুন। এসবের পরিবর্তে কাগজ এমনকি খবরে কাগজের উপর রাখা যেতে পারে। কাগজ আদ্রতা শুষে নেয় ও মাশরুমকে সজীব রাখে।
গাজর: মূলযুক্ত সবজি বেশিদিন টাটকা রাখতে বালুর নিচে রাখা সব থেকে ভালো উপায়। যেমন গাজর, পালং ইত্যাদি। শুধু গাজরের মাথাটি ভেঙে বালু অথবা মাটির বক্সে ডুবিয়ে রাখুন। সময়মত বালু পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।