একজন মানবিক মানুষ হলে কী করতে হয়? কেন এই মানুষেরা সবার কাছে এই প্রিয়? একজন মানবিক মানুষ হতে হলে আপনার ভেতরে কিছু গুণ অবশ্যই থাকতে হবে। সেগুলো কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অপরের ব্যথায় ব্যথিত হয়: অন্যের কষ্ট দেখে কষ্ট পাওয়া বড় একটি মানবিক গুণ। এই চর্চা থাকতে হবে ছোটবেলা থেকেই। অন্যের বিপদকে নিজের বিপদ মনে করা, অন্যের ব্যথায় সহমর্মিতা দেখানোর চর্চা শুরু হোক পরিবার থেকেই। আপনি যখন অন্য কারও ব্যথায় ব্যথা অনুভব করবেন, তখন জানবেন, মানবিকতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তাই মিছেমিছি কান্না নয়, বরং দুখীর দুঃখ হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন।
প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ায়: মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোতেই মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। কারণ মানুষ মানুষেরই জন্য। তাই মানবিক হয়ে ওঠার অন্যতম শর্ত হলো মানুষের প্রয়োজনে তার পাশে থাকা। এই পাশে থাকার অর্থ হলো তাকে সাহায্য করা। কখনো অর্থ, কখনো পরামর্শ তার প্রয়োজন এবং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করার নামই হলো পাশে থাকা। এই গুণ আপনাকে একজন মানবিক মানুষে পরিণত করবে।
কাউকে আঘাত করে কথা বলে না: মারের আঘাতের থেকেও কথার আঘাত বেশি গুরুতর। কারণ শরীরের জখম এক সময় সেরে যায় কিন্তু কথা দিয়ে কেউ আঘাত করলে তা মানুষ কখনো ভোলে না। তাই যে সুযোগ থাকার পরেও কাউকে কথা দিয়ে আঘাত করে না, সেই হয়ে ওঠে মানবিক মানুষ। এরকম মানুষ আশেপাশে খুঁজে পাচ্ছেন না, তাইতো? এবার থেকে তবে আপনিই হয়ে উঠুন এমনই একজন।
অন্যের খুশিতে আনন্দিত হয়: অপরের দুঃখে কাঁদতে জানার মতো অপরের খুশিতে আনন্দিত হতে জানাও জরুরি। কারণ এটি খুবই কঠিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিংসা কিংবা ঈর্ষা এসে এই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনাকে এই প্রতিবন্ধকতা ঝেড়ে ফেলতে হবে, যদি আপনি সত্যিকারের মানুষ হতে চান। যখন অন্যের খুশিতে খুশি হতে শিখবেন তখন আর আপনার কোনো হতাশা থাকবে না।
প্রশংসা করা: মিথ্যা নয়, মন থেকে সত্যি প্রশংসা করে এমন মানুষ খুব বেশি নেই। বেশিরভাগ মানুষই কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রশংসা করে থাকে। তাই তো মন থেকে অন্যের প্রশংসা করতে জানা মানুষেরাই হয়ে ওঠেন মানবিক। কারণ অন্যের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে কেবল ভালো দিকগুলোর কথা বলতে বড় মনের মানুষ হতে হয়। আপনি কি তেমনই একজন হতে চান? তাহলে আজ থেকে সেই অভ্যাস করুন।