বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে হানাদারের দল! ধ্বংস হবে উপগ্রহ?

সূর্য থেকে ছড়ানো সৌরঝলক (সোলার ফ্লেয়ার) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বিপুল শক্তি প্রবাহিত করে। সূর্যের অভ্যন্তর থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তি ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে, এবং এই শক্তির তরঙ্গের প্রভাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পড়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৌরঝলকের তীব্রতা ২০২৫ সালে আরও বৃদ্ধি পাবে, কারণ তখন সূর্য তার সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে, যা “সোলার ম্যাক্সিমাম” নামক অবস্থাকে নির্দেশ করে। এর ফলে, প্রতি বছর সৌরঝলকের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পৃথিবীকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।

এ ধরণের সৌরঝলক পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। পৃথিবী এই সৌরঝলকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উত্তর মেরুর শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র কাজ করে, যার ফলে মেরুজ্যোতি তৈরি হয়। তবে, এই সৌরঝলকগুলি পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহগুলির উপর বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। সৌরঝলকের শক্তির কারণে উপগ্রহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা অচল হয়ে যেতে পারে, যা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সেবা এবং GPS সিস্টেমে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়াও, যদি সৌরঝলকের প্রভাব খুব বেশি হয়, তাহলে পৃথিবীর বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা এবং রেডিও যোগাযোগও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ধরনের সৌরঝলক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর অর্থাৎ আয়নোস্ফিয়ারে বিপুল পরিমাণ কণাকে আয়নে পরিণত করে, যা পৃথিবীজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইতিহাসে ১৮৫৯ সালে ঘটে যাওয়া “ক্যারিংটন ইভেন্ট”-এর মতো ঘটনা আবারও ঘটলে তা বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতা এবং টেলিগ্রাফ সিস্টেমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

তবে, বিজ্ঞানীরা সতর্ক আছেন এবং পরিস্থিতি মনিটর করছেন। সৌরঝলকের প্রভাব কতটা গুরুতর হবে, তা নির্ভর করবে সূর্যের কার্যকলাপের উপর।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button